রমজানে খাদ্যাভ্যাস ও অন্যান্য দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হওয়া উচিত?



রমজানে খাদ্যাভ্যাস ও অন্যান্য দৃষ্টিভঙ্গি

রমজানে খাদ্যাভ্যাস ও অন্যান্য দৃষ্টিভঙ্গি

আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস, রমজান রহমতের মাস, সিয়াম ও সংযম সাধনার মাস। এ সময় আমরা মুসলমানরা রোজা করে থাকি, নামাজ, কালাম, কোরআন তেলাওয়াত ও আরও অনেক ইবাদত বন্দেগী করে থাকি। রোজা প্রাপ্ত বয়স্ক সবার জন্য ফরজ। ঋতু পরিবর্তন হলে যেমন আমাদের ঠান্ডা, জ্বর হয়ে থাকে, তেমনি রোজায় আমাদের দৈনন্দিন জীবন যাপনেও পরিবর্তন আসে, বিশেষ করে খাবার; যার পরিবর্তনের কারণে আমাদের বিভিন্ন রকমের স্বাস্থ্য সমস্যাও হয়ে থাকে।

সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারের সময় প্রায় সবাই তেলে ভাজা ও মুখরোচক খাবার খেতে পছন্দ করি। এছাড়া শুকনো খাবার ও দোকানের রকমারি খাবার খেয়ে থাকি। এসব খাবার বেশি খাওয়ার কারণে ও পানীয় খাবার কম খাওয়ার কারণে হজমে সমস্যা হয়, কোষ্ঠকাঠিন্য হয়, আরও বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। অতিরিক্ত খাবার খাওয়া এর একটি কারণ। অতিরিক্ত খাবার কখনই খাওয়া ঠিক নয়, সব সময়ই খাবার পরিমাণ মত খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত খাবার খেলে ওজন বেড়ে যায়, শরীরে অনেক সমস্যা দেখা দেয়।

আরও পড়ুন গাজরের হালুয়া ও বরফি

ইফতারে আবশ্যক আমাদের প্রিয় খেজুর
ইফতারে আবশ্যক আমাদের প্রিয় খেজুর

বাহিরের অস্বাস্থ্যকর খাবার না খেয়ে পরিষ্কার তেলে ভাজা পিঁয়াজু, বেগুনি, ছোলা, আলুর চপ, জিলেপী, হালিম ও মুড়ি ইত্যাদি আরও অনেক খাবার স্বাস্থসম্মতভাবে ঘরেই তৈরি করে খেতে পারেন। রোজায় ইফতারী ও সেহরীর সময় সালাদ, স্যুপ, মাছ, মাংস, ডিম, ডাল এসবের সাথে শাকসবজি ও ফলমূল বেশি পরিমাণ খাবেন এবং ঝাল, লবণ, ও তেল জাতীয় খাবার কম খাবেন। সবসময় পুস্টিকর, সুষম ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন। খাবার খাওয়ার পর একটু হাঁটলে শরীর ও স্বাস্থ্য ভালো থাকে। পানি সব সময়ই খাওয়া উচিৎ, রোজায় আরও বেশি খাওয়া দরকার। ইফতারীর পর থেকে সেহরী পর্যন্ত বেশি করে পানি পান করুন।

আলুর ডিম-বিস্কুট চপ
আলুর ডিম-বিস্কুট চপ

আরও পড়ুন আলুর ডিম-বিস্কুট চপ

পানীয় খাবার খেলে স্বাস্থ্য ঠিক থাকে, পানির ঘাটতি পূরণ হয় এবং শরীর সতেজ থাকে। পানীয় খাবার যেমন- ডাবের পানি, শরবত ও যেকোন ফলের জুস, খেজুর, কলা, পেঁপে, শশা/খিরা, ইত্যাদি। কাচা ছোলা, চিড়া ভিজা, খিচুরি, পায়েস, মিষ্টি ও এসবের সাথে কাঁচা ফলমূল জাতীয় পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিৎ। ভাত, মাছ, ডাল, শাক-সবজি, মাছ, মাংস, ডিম একটু ঝোল করে খেতে পারেন তবে বেশী মসলা ও তেল কসানো তরকারি খাওয়া উচিৎ না। বলাই বাহুল্য যে ডায়েবেটিস রোগীগণ মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খাবেন।

আমরা বলে থাকি রমজান মাস সংযমের মাস, আসলে কি আমরা সংযম করি? অনেকেই মিথ্যা বলি, সামান্য কিছুতেই খেপে যাই, রাগারাগি, ঝগড়া-বিবাদ আরও কত কি করে থাকি। শহর এলাকায় ইফতারে খাবারের ধুম পড়ে যায়, যদিও গ্রাম এলাকায় এমন হয় না। দেখা যায় রোজার মাসে আমরা কয়েকগুণ বেশি খাবার খাই এবং খরচ করে থাকি, এটা কি সংযমের নমুনা হলো না অসংযমের! খাওয়ার পরিমাণ দেখে বাজারিরা সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দেয়, যার ফলে আমাদের মাসের খরচ দুইগুণ বেড়ে যায়।

সুজির হালুয়া ও বরফি
সুজির হালুয়া ও বরফি

আরও পড়ুন সুজির হালুয়া ও বরফি

এই অতিরিক্ত খরচের পয়সা থেকে একটুও যদি কোন অসহায়, গরীব মিসকিনদের দেওয়া যায় তাহলে তাদেরও উপকার হয়, আপনারও সওয়াব হয়। কত লোকজন আছে দু’বেলা খেতে পারে না, রোগের চিকিৎসা করতে পারে না। এসব ব্যাপারে একটু ভেবে দেখবেন, যদিও এটা সম্পূর্ণই আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আর যদি দান করতে চান গ্রাম এলাকায় দেওয়াটিই আমার মনে হয় ভাল।

সুস্থ্য সবল থাকতে চাইলে, নিজে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খান ও পরিবারকেও খাওয়ান এবং অন্যদেরকেও উৎসাহিত করুন। অন্যের খেয়াল রাখুন ও সদয় হোন।

লেখক/অবদানকারী: অবদানকারী পৃষ্ঠাটি পড়ুন

বিজ্ঞাপন



আমাদের ফেসবুক পেজ @NURStudioBD

আমাদের ইউটিউব চ্যানেল NUR Studio – Cooking, Health, & Beauty

ইংরেজি ভাষায় আমাদের লাইফস্টাইল ব্লগটি ঘুরে আসুন – AUHStyle – It’s A Coeval Lifestyle

আরও একটি সম্পর্কিত পোস্ট পড়ুন রমজানে খাদ্যাভাস

আরও একটি সম্পর্কিত পোস্ট পড়ুন রমজানের খাদ্যাভ্যাস ও কিছু করণীয়