গরুর ও খাসির ভুঁড়ি কিভাবে পরিষ্কার করবেন?



গরুর ও খাসির ভুঁড়ি কিভাবে পরিষ্কার করবেন?

আমরা অনেকেই গরু ও খাসির ভুঁড়ি বা বট খেতে পছন্দ করি, সেটা কোরবানির হোক বা বাজার থেকে কেনা। আবার অনেকেই পরিষ্কার করার ঝামেলার কারণে খাওয়ার ইচ্ছাই দমিয়ে রাখি অথবা কোরবানির গরু ও খাসির ভুঁড়ি অন্যকে দিয়ে দেই। ভুঁড়ি পরিষ্কার করা অনেকটাই খাটুনির কাজ, বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়, আর অনেক সময়ও লাগে। 
ভুঁড়িতে প্রচুর ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া থাকে। ভালোভাবে পরিষ্কার না করলে বিশ্রী গন্ধ হয়। এইজন্য ভুঁড়ি খুব ভালো করে পরিষ্কার করা প্রয়োজন। ভুঁড়ি পরিষ্কার করার এই কঠিন কাজটি কিভাবে অতি সহজে ও সঠিকভাবে করবেন তার দু’টি পদ্ধতি নিচে দেয়া হল।

প্রথম পদ্ধতি

এই পদ্ধতিতে অতি সহজেই কয়েক মিনিটে কোন ঝুকি ও ঝামেলা ছাড়াই ভুঁড়ি পরিষ্কার করতে পারবেন। 

যা যা লাগবে: দা বা ছুরি, বড় গামলা ও পাতিল, চুন, হলুদ ও গরম পানি। 
প্রথমে ভুঁড়ির ভিতরের ময়লা (গোবর) ছুরি দিয়ে কেটে বের করে ফেলে দিন। তারপর পানিতে কয়েকবার ধুয়ে নিন। এরপর ৮/১০ ইঞ্চি পরিমাণ করে টুকরা করে নিন। এরপর চুলায় পানি দিয়ে ফুটিয়ে গরম করে নিন। গরম পানি নামিয়ে সেখানে ভুঁড়ির টুকরাগুলো দিয়ে ৫/৬ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। এখন ভুঁড়ির টুকরাগুলো উলট-পালট করে নামিয়ে হাত বা চামচ বা ছুড়ি দিয়ে ঘষে পরিস্কার করে নিন। সিদ্ধ করা আলুর মত কাল চামড়া অতি সহজেই ২ মিনিটেই উঠে যাবে। এরপর ভাল করে ভুঁড়ি কয়েকবার ধুয়ে নিন। গন্ধ কমানোর জন্য চুন দিয়ে ১০ মিনিট মাখিয়ে রেখে ধুয়ে নিন। ভুঁড়িতে হলুদ মিশিয়ে চুলায় দিয়ে ১০/১৫ মিনিট সিদ্ধ করে নিন। সিদ্ধ করার পর পাতিল থেকে ভুঁড়ির পানি ঝড়িয়ে ফেলে দিন, তাতে করে ভুঁড়িতে যে দূর্গন্ধ ও চর্বি থাকে তা চলে যাবে। ঠান্ডা হলে ভুড়িগুলো পছন্দ মত টুকরা করে রান্না করে খেতে পারেন এবং বাকী অংশ অনেকদিন পর্যন্ত ফ্রিজে রেখে খেতে পারেন। 

দ্বিতীয় পদ্ধতি

এই পদ্ধতিটি অনেক পুরানো যা কিনা এখনো অনেক এলাকায় ভুঁড়ি পরিষ্কার করার এ পদ্ধতিটি অনুসরণ করে থাকে। 

যা যা লাগবে: দা বা ছুরি, বড় গামলা ও পাতিল, চুন, হলুদ ও পানি। 
প্রথমে ভুঁড়ির ভিতরের ময়লা (গোবর) ছুরি দিয়ে কেটে বের করে ফেলে দিন। তারপর পানিতে কয়েকবার ভাল করে ধুয়ে নিন। এরপর ৮/১০ ইঞ্চি পরিমাণ করে টুকরা করে নিন। এবার একটি বড় গামলাতে বেশি করে চুন দিয়ে ভুঁড়ির টুকরাগুলো ভালভাবে মিশিয়ে ৩০/৪০ মিনিট রেখে দিন। এমনভাবে চুন লাগাবেন যেন ভুঁড়ির সব জায়গায় মিশে থাকে। চুন দিয়ে ভিজিয়ে রাখলে দুর্গন্ধ কমে যাবে এবং কাল অংশ নরম হবে। এরপর ভুঁড়ির টুকরা এক এক করে তুলে ছুড়ি দিয়ে ঘসে বা চেঁছে ভুঁড়ি থেকে কালো অংশটুকু উঠিয়ে ফেললে পরিষ্কার হয়ে সাদা অংশ বের হয়ে আসবে। যদি সাদা অংশ ভালভাবে পরিষ্কার না হয়, দ্বিতীয়বার চুন দিয়ে ভিজিয়ে রেখে পরে পরিষ্কার করে নিতে পারেন। এরপর পানিতে কয়েকবার ধুয়ে পানি ঝড়িয়ে নিন। এবার ভুঁড়িতে হলুদ মিশিয়ে চুলায় দিয়ে ১০/১৫ মিনিট সিদ্ধ করে নিন। সিদ্ধ করার পর পাতিল থেকে ভুঁড়ির পানি ঝড়িয়ে সিদ্ধ করা পানি ফেলে দিন তাতে করে ভুঁড়িতে যে দুর্গন্ধ ও চর্বি থাকে তা চলে যাবে। ঠান্ডা হলে ভুড়িগুলো পছন্দ মত টুকরা করে রান্না করে খেতে পারেন এবং বাকী অংশ অনেকদিন পর্যন্ত ফ্রিজে রেখে খেতে পারেন। 

ভুঁড়ির পুষ্টিগুণ

ভুঁড়িতে যেসব পুষ্টি উপাদান আছে তা মানব দেহের জন্য খুবই উপকারে আসে। ভুঁড়িতে রয়েছে সেলেনিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রণ ও জিঙ্ক। এছাড়া খাওয়ার সময় অবশ্যই ভুঁড়ি বেশি পরিমাণে খাবেন না, কারণ ভুঁড়িতে প্রচুর চর্বি থাকে। 
সবাইকে অগ্রিম ঈদ মোবারক!
বিজ্ঞাপন


আমাদের ফেসবুক পেজ  @NURStudioBD
আমাদের লাইফস্টাইল বিষয়ক ইউটিউব চ্যানেল  AUHStyle

আরও একটি সম্পর্কিত পোস্ট পড়ুন  গরু ও খাসির ভুড়ি পরিষ্কারের সহজ উপায়