রমজানের স্বাস্থ্য টিপস
বছর ঘুরে ফিরে এলো পবিত্র মাহে রমজান। এসময় মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয়। একারণে বছরের চিরাচরিত অভ্যাসগুলোর পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসও হঠাৎ করেই পাল্টে যায়। রোজা সুষ্ঠভাবে করার জন্য শরীর সুস্থ থাকার প্রয়োজন। আর শরীর সুস্থ রাখার জন্য কিছু স্বাস্থ্য টিপস মেনে চলা উচিত।
আরও পড়ুন শবে বরাত: করণীয় ও বর্জনীয়
আমাদের ইউটিউব চ্যানেল @Cooking,Health,&Beauty
রমজানের স্বাস্থ্য টিপসগুলো জেনে নেই:
– ইফতারের খাদ্য তালিকায় সেসব খাবার খাওয়া উচিত যা শরীরের স্বাস্থ্য সুস্থ ও সতেজ রাখে যেমন- পানি, জুস, শরবত, খেজুর, কলা, পেঁপে, শশা/খিরা, কাঁচা ছোলা, ভিজা চিড়া, খিচুরি, পায়েস, মিষ্টি, হালিম, কাঁচা ফলমূল ইত্যাদি।
– রোজার সময় প্রতিদিনের খাবারের তালিকা পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই, তবে পানি বেশি করে খাওয়া উচিত।
– রাতে ও সেহরির সময় বেশি করে পানি, ভাত, ডাল, শাক-সবজি, মাছ, মাংস, ডিম একটু ঝোল করে খেতে পারেন তবে বেশী মসলা ও তেল কসানো তরকারি খাওয়া উচিত না।
– ইফতারে স্যুপ জাতীয় খাবার খাওয়া ভাল।
– শরীর ও স্বাস্থ্য ঠিক রাখার ভাজাপোড়া, শুকনো খাবার ও তৈলাক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো তবে খেলেও কম খাওয়া উচিত। কারণ, এ জাতীয় খাবার বুকে জ্বালাপোড়া, বদহজম ও গ্যাসের সৃষ্টি করে।
– রোজা রেখে অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করা থেকে দুরে থাকুন। বেশি পরিশ্রমের ফলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে।
– সারাদিন রোজা রেখে ইফতারের সময় অতিরিক্ত খাবার না খেয়ে পরিমাণমত খাবেন।
– রোজায় যেসব খাবার খেলে হজমে সমস্যা হয় ঐসব খাবার না খাওয়াই ভাল।
– শুধুমাত্র দাঁতের সুস্থতার জন্য নয়, আপনার শ্বাসের দুর্গন্ধ থেকে সহ-কর্মিদের বাঁচাতেও সেহরীর পর দাঁত ব্রাশ ও ফ্লসিং করুন। অত্যধিক শর্করাযুক্ত স্ন্যাক ও পানীয়ও দাঁতের জন্য ক্ষতিকর।
– ইফতারে খেজুর তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায় এবং পানি দেহকে রিহাইড্রেট করে।
– পর্যাপ্ত ঘুমের দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। কেননা ৭-৮ ঘণ্টার কম ঘুম আপনার রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কমিয়ে দেবে।
– সারাদিন রোজা রেখে ইফতারে পানি কম খাওয়ার কারনে হজমে সমস্যা, কোষ্ঠকাটিন্য ও আরও অনেক সমস্যা দেখা দেয়, একারনে ইফতারের সময় হতে সেহরীর সময় পর্যন্ত প্রচুর পরিমানে পানি খাবেন।
– রোজায় ধূমপান থেকে দূরে থাকুন এবং ধূমপান না করা স্বাস্থের জন্য ভাল।
– চা-কফি পান না করাই মঙ্গল। এতে করে দেহে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। চা-কফির স্থলে বিভিন্ন ধরনের ঠান্ডা পানীয় পান করুন।
– যারা ডায়েট করে থাকেন রোজায় খাবারের পরিমান সীমিত বলে তাদের ডায়েট করার প্রয়োজন নেই।
– যাদের ডায়েবেটিস আছে তারা সঠিক ও স্বাস্থ্যকর খাবার নির্বাচন করবেন। ভুল এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রার ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে।
আরও পড়ুন ঘৃতকুমারীর উপাদান এবং উপকারিতা
– প্রতিদিন যারা ব্যায়াম করে থাকেন তারা রোজায় ব্যায়ামের মাত্রা কিছুটা কমিয়ে সকালে ব্যায়াম না করে ইফতারের কিছুক্ষণ পর আধা ঘণ্টা করতে পারেন। রাতে বা সেহরীর সময় নিয়মিত হাটাচলা ভাল।
– যারা বিভিন্ন রোগের জন্য ঔষধ সেবন করেন তারা রোজা শুরুর পূর্বে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ইফতার ও সেহরীর সময় ঔষধ সেবন করতে পারেন।
লেখক/অবদানকারী: অবদানকারী পৃষ্ঠাটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন
আমাদের ফেসবুক পেজ @NURStudioBD
আমাদের ইউটিউব চ্যানেল @Cooking,Health,&Beauty
আরও একটি সম্পর্কিত পোস্ট পড়ুন রোজায় সুস্থ থাকতে কিছু ডায়েট টিপস
আরও একটি সম্পর্কিত পোস্ট পড়ুন রমজানে সুস্থতা