জেনে নিন কাঁচা ও পাকা আমের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা


কাঁচা ও পাকা আমের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা 

গ্রীষ্মকালে বিভিন্ন ধরনের ফল পাওয়া যায়; তার মাঝে আম সবচেয়ে জনপ্রিয়। আমকে ফলের রাজা বলা হয়। আম বিভিন্ন জাতের ও বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। কাঁচা ও পাকা উভয় প্রকার আমে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, সি, খনিজ লবণ ও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় উপাদান বিদ্যমান। আম কাঁচা ও পাকা যেভাবেই খান না কেন শরীরের জন্য উপকারী। 

কাঁচা আমের উপকারিতা 

কাঁচা আম দিয়ে নানা ধরনের আচার বানানো হয়, এছাড়াও কাঁচা আম অনেকভাবে খাওয়া যায় যেমন – আম মাখা, জুস, মোরব্বা, চাটনি, সস্, শুকনো ফলি ও আরও কত কি! 
কাঁচা আমের পুষ্টিগুণও অনেক যেমন – ওজন কমায়, চোখ ভালো রাখে, শরীরে শক্তি যোগায়, দাঁত ও মাড়ির উপকার করে, গর্ভবতী মায়েদের জন্যও ভাল, রক্ত বাড়ায় ও বিভিন্ন ধরনের রক্তের কাজ করতে সাহায্য করে, হজমে সাহায্য করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে থাকে। কা্ঁচা আমে মিষ্টি কম এজন্য ডায়বেটিস রোগীদের জন্যও ভাল। 

পাকা আমের উপকারিতা 

পাকা আম একদিকে যেমন মিষ্টি ও সুস্বাদু, অন্যদিকে তেমনি বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর। এর উপকারিতার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল – ত্বক সুন্দর ও মসৃন করে, ওজন কমায়, চোখ ভালো রাখে, রাতকানা রোগেও উপকারী, শরীরে শক্তি যোগায়, নখ, দাঁত ও হাড়ের পুষ্টি যোগায়, রক্তের বিভিন্ন ধরনের কাজ করে, হজমে সাহায্য করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, পানির অভাব দূর করে, লিভার, কিডনি, ক্যান্সার এসব রোগের জন্যও উপকারী। এছাড়াও বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। 

বিভিন্ন জাতের যেমন, ল্যাংড়া, ফজলি, হিমসাগর, গোপালভোগ ছাড়াও অনেক জাতের আম পাওয়া যায়। এথন প্রায় সারা বছরই আম পাওয়া যায়, তবে দাম বেশি। তাছাড়া আমার মনে হয় আমের মৌসুমেই আম খাওয়াই ভালো। মৌসুম ছাড়া ফলে বিভিন্ন মেডিসিন দেয়া থাকতে পারে, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। 
আমের জুস একটি জনপ্রিয় এবং স্বাস্থ্যকর পানীয়। বাজারের মেডিসিন দেয়া জুস পান না করে বাড়িতে তৈরি করে খান। আমাদের রেসিপিগুলো আপনাকে সাহায্য করতে পারে। 
বিজ্ঞাপন

আমাদের ফেসবুক পেজ @NURStudioBD 

আমাদের ইউটিউব চ্যানেল @Cooking,Health,&Beauty
আরও একটি সম্পর্কিত পোস্ট পড়ুন কাঁচা আমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
আরও একটি সম্পর্কিত পোস্ট পড়ুন পাকা আমের পুষ্টিগুণ