রান্না করার সময় সতর্কতা ও সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরী



রান্নার সতর্কতা ও সাবধানতা

রান্না করার সময় সতর্কতা ও সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরী

নিজের অভিজ্ঞতা হতে লেখা। প্রথম প্রথম রান্না করতে গিয়ে আমার হাত অনেক সময় পুড়ে যেত বা কেটে যেত এখন তেমনটা হয় না বললেই চলে। অনেক ক্ষেত্রেই রান্নাকে এর যথার্থ মূল্য দেওয়া হয় না, অনেকে এর কোন গুরুত্বই দেয় না, কিন্তু রান্না কোন ছোট কাজ নয়, বড় একটি ব্যাপার, রান্না একটি শিল্পকর্ম হিসেবে পরিচিত । তাই রান্না করার সময় সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে করা উচিৎ। এ সময় অন্যমনস্ক না থাকাই ভাল।

রান্না করার সময় এমন কোন রাঁধুনি নেই যার দা, বটি, ছুরি দিয়ে সবজি কাটার সময় হাত কেটে যায় নি বা শরীরের কোথাও গরম হাড়ি-পাতিলের ছোয়া, ভাতের মাড় পড়া এবং আগুনের ছোয়া, বিশেষকরে তেলের ছিটে এসে লাগে নি। তেলের ছিটে এসে প্রায়ই বড় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এসব শুনে ঘাবড়ে যাবেন না কারণ একটু সচেতনতা ও সাবধানতা অবলম্বনের মাধ্যমেই অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনাগুলো এড়িয়ে যেতে পারেন।

আরও পড়ুন  থানকুনি পাতা চাষের উপকারিতা

সাধারণ সাবধানতা:

* যে পাত্রে রান্না করবেন তা যতই শুকনো হোক না কেন আগে ভালো করে গরম করে নিবেন এতে করে পানি থেকে থাকলে শুকিয়ে যাবে, আবার জীবানুমুক্ত ও হবে।

* পাত্রে তেল দেয়ার সময় প্রথমে পাত্র ভালো মত গরম করে তাতে একটু লবণ দিয়ে নিলে তেল কম ছিটে।

* গরম তেলের মধ্যে যেন পানি না পরে সেদিকে অনেক খেয়াল রাখতে হবে।

* মাছ ভাজার আগে যতটা সম্ভব পানি ঝরিয়ে নিন। মাছ হলুদ, মরিচ ও লবণ দিয়ে মাখিয়ে নিয়ে এরপর ভাজুন। উল্টানোর সময় যাতে তেল না ছিটে তাই একটু সাবধানে উল্টাবেন।

* তেলে মাছ, মাংস বা অন্য কিছু দেয়ার সময় চুলার আগুনের আঁচ মাঝারি বা মৃদু রাখ ভাল, এর ফলে তেল ছিটার সম্ভাবনা কমে যায়।

* ডুবো তেলে যখন কিছু ভাজবেন তখন বেশী সাবধানতার প্রয়োজন হয়। কোন কিছু ভাজার সময় খুব সাবধানে, একটু দূরে দাড়িয়ে আস্তে করে পাত্রের কিনার ঘেঁসে মাছ, মাংস বা সবজি তেলে দিবেন।

আরও পড়ুন  টমেটো দিয়ে রুপচর্চা

* রান্নার করার সময় ভাতের মাড়, তেল ও মসলা লেগে কাপড় নষ্ট হতে পারে এছাড়াও তেল ছিটে আসতে পারে। তাই এপ্রন পড়ে রান্না করবেন এবং প্রয়োজনবোধে কনুই পর্যন্ত গ্লাভস পড়ে নিতে পারেন।

* রান্না করার সময় চুলা থেকে নিরাপদ দূরত্বে থেকে কাজ করা ভালো।

* রান্নার আগে চুল সবসময় ভালোভাবে বেধে নেয়া উচিত। নাহলে অসাবধানতাবসত চুলে আগুন লাগতে পারে। এছাড়া খাবারে চুল পড়তে পারে যা মোটেও রুচিকর বা স্বাস্থ্যকর নয়।

* রান্না করার সময় বেশি ঢিলেঢালা কাপড় পরিধান না করা ভাল নতুবা আগুন লাগার সম্ভাবনা থাকে।

* রান্নাঘরের মেঝেতে কোন ধরনের তরল পদার্থ পরলে তা সাথেসাথে মুছে ফেলা উচিত নাহলে পা পিছলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

* ধারালো সরঞ্জামগুলো নিরাপদ দূরত্বে রাখুন এবং শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।

* রান্নার করার সময় তাড়াহুড়ো করবেন না, দুশ্চিন্তা করবেন না, এতে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বেশি-তাই ধীরে সুস্থে রান্না করুন।

* রান্না শেষে চুলা নিভিয়ে ফেলুন। এতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা ও গ্যাস অপচয় দুটোই এড়ানো যায়।

* প্রয়োজন শেষে পানির কল বন্ধ রাখুন।

* রান্নার সময় রান্নাঘর থেকে শিশুদের দূরে রাখুন।

* নিরাপদ থাকুন ও সুস্থ থাকুন।

আরও পড়ুন  প্রাথমিক চিকিৎসা: আগুনে বা তেলে পোড়ার পর করণীয়

লেখক/অবদানকারী: অবদানকারী পৃষ্ঠাটি পড়ুন

বিজ্ঞাপন



আমাদের ফেসবুক পেজ @NURStudioBD

ভিন্নধর্মী লাইফস্টাইল ব্লগ AUHStyle – It’s A Coeval Lifestyle

আমাদের ইউটিউব চ্যানেল NUR Studio – Cooking, Health, &Beauty

আরও একটি সম্পর্কিত পোস্ট পড়ুন রান্নার সময় হাত পুড়েছে?

আরও একটি সম্পর্কিত পোস্ট পড়ুন সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় এলপিজি সিলিন্ডারে স্মার্ট রান্না