ঈদুল ফিতরে করণীয় ও বর্জনীয়
রমজানের এই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ! বছর ঘুরে আবার এলো খুশির ঈদ! ঈদ সমগ্র বিশ্বের মুসলিমদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে সকল ধর্মপ্রাণ মুসলিমগণ ঈদুর-ফিতর পালন করে থাকে।
ঈদুল ফিতরে করণীয়:
– ঈদের চাঁদ দেখার সময় দোয়া পড়া
– সকালে ঘুম থেকে উঠে অবশ্যই ফজর নামাজ পড়া, ফজর নামাজ জামাতে পড়া ভাল
– ঈদের নামাজের জন্য পরিষ্কার করে গোসল করা জরুরী
– নতুন জামা-কাপড় পড়া বা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, উত্তম জামা-কাপড় পড়া
– সুগন্ধি ব্যবহার করা, যেমন সুরমা, আতর ও গোলাপ ব্যবহার করা
– ঈদের নামাজের যাওয়ার আগে খাবার খাওয়া, মিষ্টি জাতিয় খাবার খাওয়া
– ঈদের নামাজের আাগে যাকাত দেয়া ও ফিতরা আদায় করা
– ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় তাকবির পড়া
– ঈদের নামাজের জন্য পায়ে হেঁটে যাওয়া সুন্নত, সম্ভব হলে হেটে যাবেন
– ঈদের নামাজের জন্য এক পথে যাওয়া অন্য পথে আসা। সবার সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করার মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি হয়, যেমন-ঈদ মোবারক, ইনশাআল্লাহ, তাকাববালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকাও
– ঈদেরে দিনে বড়দের সালাম করা ও ছোটদের স্নেহ ভালবাসার সাথে সেলামি প্রদান করা
– ঈদের দিনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ঈদের নামাজ জামাতে আদায় করা, জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করলে অনেক বেশি আনন্দ পাওয়া যায়
– ঈদের দিনে আত্মীয়-স্বজনের খোঁজ-খবর নেয়া, আশে-পাশে, পাড়া-প্রতিবেশীদের খোজ-খবর নেয়া ও তাদের বাড়িতে যেয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করা
– ঈদের দিনে এতিম, গরীব ও অসহায়দের খোঁজ-খবর নেয়া, তাদের খাবার খাওয়ানো ও সাহায্য সহযোগিতা করা
– ঈদের দিনে এক অপরের প্রতি পারস্পরিক মন মলিন্য, ঝগড়া-বিবাদ, শত্রুতা তা দূর করে সম্পর্ক সুদৃঢ় করা উচিত
– ঈদের দিনে দোয়া ও তওবা করলে আল্লাহতায়ালা অনেককে মাফ করে দেন।
আরও পড়ুন ঈদকে সবার জন্য আনন্দময় করতে আমরা কি কি করতে পারি?
ঈদুল ফিতরের দিনে যেসব করা উচিৎ নয় –
ঈদের দিনে রোজা রাখা, ঈদের নামাজ না পড়া, জামাতে ঈদের নামাজ না পড়া, নামাজ বাদ দিয়ে আনন্দে মেতে উঠা, হিংসা বিদ্বেষ মনে রাখা, অহংকার করা, মানুষকে কষ্ট দেয়া, বিনা কারণে খরচ করা, অহেতুক অপব্যায় করা, আজে-বাজে বা বেহুদা কাজ করা, আতশবাজি, পটকা ফুটানো, মদ, জুয়াখেলা, নাচ-গান, গান-বাজনা, অপসংস্কৃতি ও অমুসলিমদের অনুকরণ করা।
এক সময় বাংলা কন্টেন্ট এর মার্কেট জমজমাট হবে।