NurStudio

রন্ধন~সুস্থতা~সুন্দরতা~জীবন-বৈচিত্র্য

জীবন ও বৈচিত্র্য, নিসফু শা’বান, শবে বরাত, শবে বরাতে করণীয়, শবে বরাতে করণীয় ও বর্জনীয়, শবে বরাতে বর্জনীয়

শবে বরাতে করণীয় ও বর্জনীয়


শবে বরাতে করণীয় ও বর্জনীয়

শাবান মাসের ১৪ এবং ১৫ তারিখের মধ্যবর্তী রাতে ’শবে বরাত’ পালিত হয়। আরবীতে শবে বরাতের রাতকে ’’লাইলাতুল বারাত’’ বলা হয়। এশিয়া উপমহাদেশগুলোর প্রায় সকল ভাষায় ’’শবে বরাত’’ বা ’’নিসফু শা’বান’’ নামে পরিচিত। শাবান মাসের ১৪ তারিখের রাতে ইবাদত-বন্দেগী করবে ও ১৫ তারিখ দিনে রোজা রাখবে। 

হিজরী ১২ মাসের মাঝে ৫টি রাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ রাতগুলো হলো – শবে বরাত, শবে কদর, শবে মেরাজ, ঈদ-উল-ফিতর এবং ঈদ-উল-আযহা। আমাদের মুসলিম সমাজের মধ্যে অনেকেই শবে বরাতের রাতকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তবে যারা রাতের ইবাদত-বন্দেগি অুনধাবন করে থাকেন, তারা প্রতিটি রাতকেই শবে বরাতের গুরুত্ব দিয়ে ইবাদত- বন্দেগি করে থাকেন। 
শবে বরাতের এই রাতকে ক্ষমার রাত ও বরকতের রাত বলে থাকে। এই রাত ক্ষমা ও মুক্তির রাত হিসেবে ব্যাপকভাবে প্রচলিত।এই রাতে আল্লাহ তার সকল বান্দাকেই ক্ষমা করে দেন তবে শুধু দুই শ্রেনীর লোক ক্ষমা পায় না, তারা হলো- শিরকের গুনাহকারী ও বিদ্বেষকারী।

শবে বরাতে করনীয় কার্য:

– নফল নামাজ দীর্ঘসময় নিয়ে পড়া এবং শবে বরাতের পরের দিন রোজা রাখা

– কোরআন তেলাওয়াত করা

– দোয়া কালাম ও দরুদ শরিফ বেশি বেশি পড়া

– বেশি বেশি তওবা ইস্তেগফার করা এবং অন্যান্য ফজিলতের দোয়া/সুরাগুলি তেলওয়াত করা

আরও পড়ুন ঈদকে সবার জন্য আনন্দময় করতে আমরা কি কি করতে পারি? 

– তাসবিহ তাহলিল ও জিকির-আসকার করা, সালাতুত তাসবীহ পড়া

– মৃত আত্মীয়-স্বজনের জন্য দোয়া করা এবং কবর জিয়ারত করা

– নিজের, পরিবারের, পিতা-মাতার, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের জন্য এবং পাড়া-প্রতিবেশীসহ সকল মুসলিম উম্মার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করা

শবে বরাতে বর্জনীয় কার্য:

শবে বরাত পালনের নামে প্রচলিত যে কাজগুলো বজর্ন করা উচিৎ সেগুলো হলো-

– শবে বরাত পালনের নামে আতশবাজি ও পটকা-বাজি ফুটানো, হৈ-হল্লুর ও আনন্দ উল্লাস করে বেড়ানো।

– মসজিদে ও বাড়ীতে এবং বিভিন্ন ভবনগুলোতে আলোক সজ্জা করা।

– ইবাদত বাদ দিয়ে ঘোরাঘুড়ি বা অযথা আড্ডাবাজি করে বেড়ানো।

– ইবাদত মেনে হালুয়ারুটি তৈরি করে খাওয়া ওআশে-পাশে বিলি করা এবং আত্বীয়-স্বজনকে দাওয়াত করা ইত্যাদি। 

– অন্যের ইবাদতে বা ঘুমে বিরক্ত করা।

– দলবেধে সবাই একত্রিত হয়েই মসজিদে নামাজ পড়তে হবে এ ধরনের ধারনা করা।

– নফল নামাজ ঘরে বসেই পড়া যায় কিন্তু মসজিদে গিয়েই নামাজ পড়তে হবে এমন চিন্তা করা।

– শবে বরাত পালনের নামে গরু বা খাশি জবেহ করা এবং মসজিদে মিষ্টি, জিলেপী, বিরিয়ানি বা তবারক বিতরন করা।

আরও পড়ুন শবে বরাত: করণীয় ও বর্জনীয় 

আসুন, আমরা সবাই এখন ও আজ থেকে সারা বিশ্ব সৃষ্টিকারী, সর্বশক্তিমান, সর্বময় অধিকারী, রাহমানির রাহিম, দয়াময় মহান আল্লাহর নিকট দু’হাত তুলে দোয়া করি – এখন থেকে ছোট বা বড় কোন ধরনের অন্যায়-অপরাধ, মারামারি, কাটাকাটি, খারাপ কাজ, হিংসা-বিদ্বেষ, শিরক চিন্তা এমন সব অন্যায় কাজ যেন না করি, অন্যরাও যেন না করে সেদিকে খেয়াল রেখে শশথ নেই। সৎ ও নিষ্ঠার সাথে আমাদের মহান আল্লাহর পথে চলতে পারার সেই তৌফিক দান করুন। আমিন।

লেখক/অবদানকারী: অবদানকারী পৃষ্ঠাটি পড়ুন 
বিজ্ঞাপন

আমাদের ফেসবুক পেজ @NURStudioBD 
আমাদের লাইফস্টাইল বিষয়ক ইউটিউব চ্যানেল AUHStyle
আরও একটি সম্পর্কিত পোস্ট পড়ুন শবে বরাতে যা করণীয় ও বর্জনীয় 
আরও একটি সম্পর্কিত পোস্ট পড়ুন শবে বরাতে করণীয় ও বর্জনীয় 

One thought on “শবে বরাতে করণীয় ও বর্জনীয়

Comments are closed.